ঐতিহ্যের কারমাইকেল কলেজ
১৩ জানুয়ারী, ২০১৮ ১৯:৪১:০৩
বাংলাদেশের যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় অবদান রেখে চলেছে।, কারমাইকেল কলেজ তার মধ্যে অন্যতম । ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে রংপুর শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে শহরের কোলাহলমুক্ত সবুজবৃক্ষরাজি শোভিত লালবাগ এলাকায় ৯ শত বিঘা জমির উপর এক নৈসর্গিক পরিবেশে কলেজের ভিত্তি স্থাপিত হয় । প্রতিষ্ঠার দিক থেকে কারমাইকেল কলেজের জন্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও আগে। ঐতিহাসিকভাবে রংপুর জেলা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বাংলার ব্রিটিশ-বিরোধী ও পাকিস্তান-বিরোধী আন্দোলন এর আকরভূমি হলো রংপুর। ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, রংপুর বিদ্রোহ(১৭৮৩ খ্রি), ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ, ৫২র ভাষা আন্দোলন , ৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯র গণঅভ্যুত্থান সর্বোপরি’৭১র মহান মুক্তিযুদ্ধে রংপুরবাসীর সক্রিয় ও স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহ ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। তাছাড়া বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মৃতি বিজড়িত জন্মস্থান এবং দেশের ঐতিহ্যমন্ডিত ভাওয়াইয়া গানের পাদপীঠ হলো রংপুর। এমন চেতনাসমৃদ্ধ অঞ্চলে কারমাইকেল কলেজেরপ্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে এটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রথম আই.এ. ও বি.এ ক্লাস খোলার অনুমতি দেয়। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে বাংলার গভর্নর লর্ড লিটন কলেজ পরিদর্শনে এসে কলেজের সৌন্দর্য এবং শিক্ষার উন্নত পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে এখানে আই.এস.সি ক্লাস খোলার অনুমতি দেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে এ কলেজে বাংলা, সংস্কৃত, আরবি, ফার্সী, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, রাস্ট্রবিজ্ঞান,অর্থনীতি, মানবিক ও নৈতিক দর্শন, গণিতসহ বেশ কিছু বিষয়ে অনার্স কোর্স খোলার অনুমতি দেয়। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কলেজে বি.এস.সি কোর্স চালু হয়। কলেজটি ১৯১৭-১৯৪৭ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৪৭ হতে ১৯৫২ পর্যন্ত ঢাকা এবং ১৯৫৩ হতে ১৯৯২ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বর্তমানে এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত । বর্তমানে কলেজে ১৭ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং ১৫ টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষ হতে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাসের উদ্যোগে ১৪ বছর পর পুনরায় উচ্চমাধ্যমিক কোর্স চালু হয়।
ইতিহাস :বাংলাদেশের যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় অবদান রেখে চলেছে কারমাইকেল কলেজ তার মধ্যে অন্যতম । ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে রংপুর শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে শহরের কোলাহলমুক্ত সবুজবৃক্ষরাজি শোভিত লালবাগ এলাকায় ৯ শত বিঘা জমির উপর এক নৈসর্গিক পরিবেশে কলেজের ভিত্তি স্থাপিত হয় । প্রতিষ্ঠার দিক থেকে কারমাইকেল কলেজের জন্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও আগে। ঐতিহাসিকভাবে রংপুর জেলা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বাংলার ব্রিটিশ-বিরোধী ও পাকিস্তান-বিরোধী আন্দোলন এর আকরভূমি হলো রংপুর। ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, রংপুর বিদ্রোহ(১৭৮৩ খ্রি), ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ, ৫২র ভাষা আন্দোলন , ৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯র গণঅভ্যুত্থান সর্বোপরি’৭১র মহান মুক্তিযুদ্ধে রংপুরবাসীর সক্রিয় ও স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহ ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। তাছাড়া বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মৃতি বিজড়িত জন্মস্থান এবং দেশের ঐতিহ্যমন্ডিত ভাওয়াইয়া গানের পাদপীঠ হলো রংপুর। এমন চেতনাসমৃদ্ধ অঞ্চলে কারমাইকেল কলেজেরপ্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে এটি ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রথম আই.এ. ও বি.এ ক্লাস খোলার অনুমতি দেয়। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে বাংলার গভর্নর লর্ড লিটন কলেজ পরিদর্শনে এসে কলেজের সৌন্দর্য এবং শিক্ষার উন্নত পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে এখানে আই.এস.সি ক্লাস খোলার অনুমতি দেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে এ কলেজে বাংলা, সংস্কৃত, আরবি, ফার্সী, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, রাস্ট্রবিজ্ঞান,অর্থনীতি, মানবিক ও নৈতিক দর্শন, গণিতসহ বেশ কিছু বিষয়ে অনার্স কোর্স খোলার অনুমতি দেয়। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কলেজে বি.এস.সি কোর্স চালু হয়। কলেজটি ১৯১৭-১৯৪৭ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৪৭ হতে ১৯৫২ পর্যন্ত ঢাকা এবং ১৯৫৩ হতে ১৯৯২ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বর্তমানে এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত । বর্তমানে কলেজে ১৭ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং ১৫ টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষ হতে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাসের উদ্যোগে ১৪ বছর পর পুনরায় উচ্চমাধ্যমিক কোর্স চালু হয়।