১২ এপ্রিল, ২০১৮ ২০:২৯:০৬
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর॥
আর মাত্র একদিন পরই বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ বহু বছর থেকেই চলে আসছে। তাই পান্তা-ইলিশের রেওয়াজ মিশে আসে বাঙ্গালীর হাজার বছরের ঐতিহ্যের সঙ্গে। এদিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রংপুরে ইলিশের বাজারে বৈশাখের হাওয়া লেগেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ওজন বেঁধে ইলিশের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৫শ’ টাকা থেকে ১হাজার টাকা পর্যন্ত।
রংপুরের কেন্দ্রীয় বার্সটামিনাল মৎস্য আড়ৎ, সিটি বাজার ও শঠিবাড়ী মৎস্য আড়ৎ ঘরে জানাগেছে, ১ থেকে সোয়া কেজি সাইজের ইলিশের মূল্য ২ হাজার ২শ’ টাকা থেকে ৩ হাজার ৭শ’ টাকা পর্যন্ত। ৭ শ’ গ্রাম থেকে ৮ গ্রামের ইলিশর দাম ১২শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা পর্যন্ত। ৬শ’ গ্রাম থেকে ৫শ’ গ্রামের ইলিশের মূল্য হচ্ছে ৬শ’ টাকা থেকে ৬শ’ ৫০টাকা পর্যন্ত।
রংপুরে পাইকারী মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশ মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বাজারে ইলিশের দাম চড়া রয়েছে।
জানাগেছে, দেশীয় ইলিশের মধ্যে বরিশাল ও চাদপুরের ইলিশ সবচেয়ে বেশী সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা বেশী ও দাম বেশী থাকে। বর্তমান বাজারে দেশীয় ইলিশের পাশাপাশি ওমানের চন্দনা ও লা”ছা ইলিশ রয়েছে। এছাড়াও বার্মা ইলিশ, চাপলিশ ইলিশ রয়েছে। তবে বৈশাখে ইলিশের চাহিদা বেশী থাকায় দামের পরিবর্তন হয়ে থাকে।
রংপুর মহানগরীর তামপাট এলাকার আশরাফুল আলম নেতা ও হুমায়ন রশিদ শাহিন জানান, ইলিশ বাজাওে পর্যাপ্ত থাকলেও দাম বেশি। তবে ওজন বেধেঁ ইলিশের বিভিন্ন দাম রয়েছে। এবার আমি ৬ গ্রামের চাদপুরের ইলিশ ক্রয় করছি ৮শত টায়।
কেন্দ্রীয় বাসর্টামিনালের মৎস্য আড়তের পাইকারী মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ রানা ও আব্দুল মতিন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বেশি হওয়ার কারণে বাজারে এবার ইলিশের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
রংপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি বকুল সরকার জানান, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে ইলিশের মুল্য বৃদ্ধি হয়ে থাকে। কারণ এ সময় বাজারে ইলিশের চাহিদা বেশি হয়ে থাকে।