০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৩৪:০১
ইভান চৌধুরী
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াত ধরার ক্ষে্ত্রে হ্যাট্রিক করলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ। ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও চলতি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াত ধরে ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাইলেন্ট মুডের এই শিক্ষক।
জানা যায়, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে নবীন শিক্ষক হিসেবে ভর্তি পরীক্ষার পরিদর্শক হিসেবে জালিয়াত ধরেন তিনি। এরপর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে বহুল আলোচিত শামস্ বিন শাহরিয়ার নামের এক জালিয়াতকে ধরেন তিনি। আর চলতি ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিন গত ২ ডিসেম্বর শফিকুল ইসলাম নামেরে এক শিক্ষার্থীকে প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে আটক করেন আসাদুজ্জামান মন্ডল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামান মন্ডল বলেন, আমি শিক্ষক হিসেবে পরীক্ষার হলে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করি। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতি হয়ে থাকে। আর জালিয়াতদের ধরা শিক্ষকদের নৈতিক দায়িত্ব। জালিয়াতরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকী স্বরুপ। সেই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।
তবে, জালিয়াত ধরে বিপদে পড়তে হয় এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, গতবছর জালিয়াত ধরে অভিনন্দনের পরিবর্তে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বারবার আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে। আমি চেয়েছিলাম ভর্তি জালিয়াত চক্রকে সনাক্ত করা হোক। কিন্তু প্রশাসন তা না করে উল্টো আমাকে বিভিন্ন দোষারোপ করেছে। ফলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ও পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, চলতি ভর্তি পরীক্ষায় একটি মাত্র জালিয়াত ধরা পড়েছে। তাও আমার মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল আমাকে উৎসাহিত করা। কিন্তু তা করা হয়নি। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন শিক্ষকের মাধ্যমে জালিয়াত ধরা পড়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কিছু বলতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবু কালাম মো. ফরিদ-উল ইসলাম।